প্রবা
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৮ এএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৯ এএম
নির্বিঘ্ন
হোক ঈদযাত্রা
ঈদযাত্রার শুরু থেকেই পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয় কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিকের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য। অসাধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা মরিয়া হয়ে ওঠায় কোনো কোনো পথে ঈদের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় বাস-ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে অথবা পণ্যবাহী পরিবহনে যাতায়াতে বাধ্য হন। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। প্রাণহানিও ঘটে। যদিও এবার দেশের সড়ক যোগাযোগ ভালো অবস্থায় আছে- এমন দাবির কথা শোনা যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে সড়কপথে বিআরটিসির বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে; ট্রেনে বাড়তি বগি ও ইঞ্জিন সংযোজনের ব্যবস্থাও হয়েছে। ট্রেন ও নৌযানের ছাদে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি কতটা সীমিত রাখা যায়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সময়োপযোগী কর্মকৌশল প্রণয়ন করা জরুরি। ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রীসাধারণ সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাহলে ঈদযাত্রা অনেকটাই নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ রাখা সম্ভব।
এস আলী দুর্জয়
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
মশার দাপট কমান
মশার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরবাসীর জীবন। নগরীর রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি সবখানেই মশার দাপট। দিনের বেলায়ও মশার উপদ্রব কমে না। সন্ধ্যা থেকে মশার উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের পড়তে বসাও কঠিন হয়ে উঠছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসাবাড়িতে কয়েল জ্বালিয়ে মশা তাড়ানো গেলেও তাতে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ ছাড়া মশা নিধনে যে ওষুধ স্প্রে ব্যবহার করা হয় তার কার্যকারিতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। নগর কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে মশার দাপট চরম আকার ধারণ করেছে। এডিস মশা নিধনে সরকার সিটি করপোরেশনগুলোতে বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে। যথেষ্ট বরাদ্দ থাকার পরও মশা নিয়ন্ত্রণ না হওয়া দুঃখজনকই শুধু নয়, মশাবাহিত রোগের কারণে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর মধ্যে সামনে বর্ষাকালে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগেই যা কিছু করণীয় তার আশু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
রায়হান উদ্দিন
চট্টগ্রাম
পলিথিন নয় সন্ধি হোক পাটের সঙ্গে
পাটের ব্যবহার কমে যাওয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে পলিথিন। দেশে প্রতিনিয়ত পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশদূষণ। পলিথিন অপচনশীল এবং দীর্ঘস্থায়ী উপাদান। অথচ সহজেই পচনশীল, দ্রুত মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া পাটের ব্যবহার খুবই কম। একসময় দেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল ছিল পাটের ওপর। পাটই ছিল দেশের অন্যতম প্রথম ও প্রধান রপ্তানি পণ্য। কিন্তু একসময়ের শীর্ষ রপ্তানি পণ্যটি আজ অবহেলিত এবং দুর্লভ। পাট পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভালো ও উপকারী। তবে পাটের চেয়ে পলিথিন সাশ্রয়ী, অপচনশীল ও ওজনে হালকা হওয়ায় এবং বিভিন্ন আকারে ও বৈশিষ্ট্যে পাওয়া যাওয়ায় অনেকেই পলিথিনমুখী। কিন্তু পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে পরিবেশের সুরক্ষার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম করা প্রয়োজন। পাটজাত পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে পাটের হারানো ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনে পরিবেশ, দেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং সুরক্ষায় পাটের ব্যবহার বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে। পাট যাতে সব প্রয়োজনীয় কাজে সর্বদা ব্যবহার হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
মো. মিনহাজুর রহমান মাহিম
কুষ্টিয়া